শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

৬ গোলে নীল ইউনাইটেড, ইতিহাদে হলান্ডের ইতিহাস

ম্যানচেস্টার ডার্বিতে গোলের পর আর্লিং হলান্ডের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ২ অক্টোবর, ২০২২ ২২:১২

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দাবি করতে পারে, ম্যানচেস্টার ডার্বি তো সমতায়ই শেষ হয়েছে!

প্রথমার্ধটা ম্যানচেস্টার সিটি জিতেছে, দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সিটি একটু বেশি গোলের ব্যবধানেই জিতেছে, এ-ই যা! প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিটি, দ্বিতীয়ার্ধে সিটির দুই গোলের বিপরীতে ইউনাইটেড গোল করেছে তিনটি।

কিন্তু ইউনাইটেডের ভাগ্য খারাপ, ফুটবল ম্যাচের ফল দুই অর্ধ মিলিয়েই হয়। তাতে অমন অসহায় প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেডের তিন গোল পাত্তাই পায়নি। গোলগুলো সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীতার ছাপ রাখলেও হতো। ইউনাইটেডের শেষ দুই গোল যে এসেছে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে, ততক্ষণে সব শেষ।

ততক্ষণে ইতিহাদে ইউনাইটেড লজ্জায় লাল। ততক্ষণেই ৬-১ গোলে এগিয়ে সিটি, শেষ মুহূর্তে ইউনাইটেডের দুই গোলে ম্যাচটা শেষ হয়েছে সিটির ৬-৩ গোলের জয়ে।

আর সিটির এমন ইংল্যান্ড কাঁপিয়ে দেওয়া জয়ের নায়ক? গত আগস্টে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর ইংল্যান্ড মাতিয়ে রাখা আর্লিং হলান্ডই! আবারও হ্যাটট্রিক তার, তাতে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক পাওয়া প্রথম খেলোয়াড়ও বনে গেছেন। তবে আজ অবশ্য আলোটা শুধু হলান্ডের ওপরই নয়, হ্যাটট্রিক যে ফিল ফোডেনও পেয়েছেন।

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, হলান্ডের হ্যাটট্রিকও হয়তো কদিন পরে আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ থাকবে না। প্রতিদিনই বিরিয়ানি খেতে থাকলে এক সময় বিরিয়ানির কথা আর আলাদা করে বলতে হয় নাকি!

নিজেদের মাঠে আগের দুই ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেস আর নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন। লিগে নিজেদের সর্বশেষ চার ম্যাচ জিতে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ম্যান ইউনাইটেডকেও আজ প্যালেস-ফরেস্টের সারিতে নামিয়ে এনেছেন হলান্ড!

বিরতির ১০ মিনিট আগেও মনে হচ্ছিল, বিরতিতে বুঝি গার্দিওলা মাথা চুলকাবেন! দারুণ দাপুটে ফুটবলের পরও ৮ মিনিটে ফোডেনের গোলের বাইরে তখনো যে আর গোল পায়নি সিটি। এরপর? দৃশ্যপটে আগমন হলান্ডের! ৩৪ থেকে ৩৭- চার মিনিটে দুই গোল! ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’য় সমতা ফেরাতে ৪৪ মিনিটে গোল ফোডেনেরও।

সিটি ৪-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা না হলেও খুব বেশি ক্ষতি বৃদ্ধি হয়তো হতো না। প্রথমার্ধ শেষেই ‘মৃত’ ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে প্রাণ বলতে পাঁচটা গোলই। ৫৬ মিনিটে আন্তনির গোলটা অবশ্য হয়েছে দেখার মতো, বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে। তবে সেটিতেও ইউনাইটেডের প্রত্যাবর্তনের আশা কারও সম্ভবত জাগেনি। ইউনাইটেড প্রত্যাবর্তন তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বীতাও করতে পারেনি। উল্টো ৬৪ মিনিটে হলান্ডের হ্যাটট্রিক পূর্ণ হলো, ৮ মিনিট পর ফোডেনেরও।

এরপর শেষদিকে মার্শিয়ালের দুই গোল শুধু মনে করিয়েছে, স্কোরলাইনটা বুঝি ইউনাইটেডের পক্ষেই একটু বেশি বাড়িয়ে বলছে!


টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে এখন বাবর আজম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে এখন রেকর্ডের বরপুত্র বললে কোনোভাবেই ভুল হওয়ার কথা নয়। একের পর এক রেকর্ড বই তছনছ করে দিচ্ছেন তিনি। বাবর যেন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই ছুঁয়েছেন কয়েকটি রেকর্ড। সিরিজে শেষ ম্যাচে নাম লেখালেন আরেকটি রেকর্ড। আর এতে ছাড়িয়ে গেলেন ভিরাট কোহলিকে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। এ ম্যাচে ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৯তম হাফসেঞ্চুরি। তাতে বিরাট কোহলিকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি। সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কোহলির চেয়ে এক ইনিংস কম খেলে তাঁর এই কীর্তি ছুঁয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টিতে ১১০টি ইনিংস খেলে বাবর আজমের হাফসেঞ্চুরি এখন ৩৯টি। ক্রিকেটের এ ছোট ফরম্যাটে ১০৯টি ইনিংস খেলা ভিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরি ৩৮। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে বাবর সবচেয়ে বেশি ৮টি ফিফটি করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচও খেলেছেন সবচেয়ে বেশি- ২৬টি। এরপর সর্বোচ্চ ৫টি করে ফিফটি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪টি ফিফটি আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে বাবর সিরিজ জিতিয়েছেন তার দলকেও। দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তানের এ ওপেনার সিরিজের প্রথম ও শেষ ম্যাচে করেছেন দুটি অর্ধশতক। প্রথম ম্যাচে হারলেও শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে তার ব্যাটে ভর করেই।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রিজওয়ান ও ফখর জামানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাবর আজমের দল। সিরিজে সমতা ফেরানোর পর মঙ্গলবার আবারও রিজওয়ান জ্বলে উঠলেন, এবার সঙ্গ পেলেন বাবরের কাছ থেকে। দুজনের ১০০ ছাড়ানো জুটিতে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ এ জিতল পাকিস্তান।

আয়ারল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে বাবর ও রিজওয়ানের ৭৪ বলে ১৩৯ রানের ঝড়ো জুটিতে সহজ জয়ের ভিত গড়ে পাকিস্তান। এরপর বাবর-রিজওয়ান আউট হলেও জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা আজম খান ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুটি ছয় মেরে দলকে জেতান। ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে পাকিস্তান।

বিষয়:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র-ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের টাইগাররা। বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে বিসিবির বিশ্বকাপ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেয় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।

পরিবর্তিত পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর তাদের ভারত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা।

আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ডালাসে হতে যাওয়া ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। টাইগারদের পরের ম্যাচ ১০ জুন সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ ইয়র্কে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে রাত সাড়ে ৮টায়।

পরের দুটি ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে টাইগাররা। ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে রাত সাড়ে ৮টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুত আগামী ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৫ টায় শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেপাল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিগত আসরগুলো থেকে ভালো কিছু অর্জনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তাই এবার প্রত্যাশায় লাগাম টেনে বিশ্বকাপ মিশনে নামবেন সাকিব-শান্তরা। অন্তত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মত তা-ই।

আসন্ন বিশ্বকাপে টাইগারদের স্কোয়াডে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও হাসান মাহমুদকে। দলের অন্য কোনো সদস্য ইনজুরিতে পড়লে তবেই ডাক পেতে পারেন তারা।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।


স্বঘোষিত সুপারম্যান ইব্রাহিমোভিচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ! এক স্বঘোষিত ফুটবলের সুপারম্যান। তবে দর্শকদের কাছেও তিনি, সুপার নাহলেও কম কিছু নয়। বল পায়ে দারুণ কারুকাজে ফুটবলের ওই মাঠটাকে আপন করে নিয়েছিলেন। নিজের ফুটবল শৈলী প্রদর্শন করেছেন ইউরোপের অনেক দেশে। যেখানেই গিয়েছেন সাফল্য তাকে ছেড়ে যাননি; নামের পাশে লিখেছেন এসেছেন বিশেষ কিছু। অর্জনের পাশাপাশি গর্জনের কারণেও আলোচনায় এসেছেন তিনি। ইব্রাহিমোভিচ ছিলেন ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের এক ফুটবলার। সতীর্থের সঙ্গে মারামারি করে ভেঙেছিলেন নিজের মেরুদন্ডের হাড়। তবে বিতর্ক বাদ দিলে এ সুইডিশ ফুটবলার যুগ যুগ ধরে আলোচনায় থাকবেন তার ফুটবলীয় অর্জন দিয়েই। ১০ বছরে ৫টি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ৯ বার লিগ জিতেছেন।

তবে ইব্রার শৈশবটা এতোটা সহজ ছিল না। ১৯৮১ সালে সুইডেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমোর অভিবাসী অধ্যুষিত রোজেনগার্ড শহরতলীতে জন্ম ইব্রার। যেখানে ছিল শুধুই মদ আর জুয়ার আসর। আর সেই বিপথগামী শহরেই আশির দশকে বেড়ে ওঠা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের। তার উপর আবার মাত্র দুই বছর বয়সেই বিচ্ছেদ হয় বাবা-মায়ের; যার খারাপ প্রভাব পড়ে ইব্রার মাঝেও। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতেই রুক্ষ, খিটখিটে আর মেজাজি চরিত্রের স্বভাব ভর করে ইব্রাহিমোভিচের ওপর। রোজেনগার্ডের বিপথগামী, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মদের নেশা হয়ে ওঠে তাঁর জীবন। সেখান থেকে ইব্রার জীবনে মুক্তির পথ খুঁজে দেয় ফুটবল।

ইব্রার বয়স যখন ১৫, তখন ফুটবল খেলার পাশাপাশি মালমো ডকে কাজ শুরু করলেন তিনি। একটা সময় পরে ফুটবলটাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোচের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ফুটবলটা আর ছাড়তে পারেননি ইব্রা। ১৭ বছর বয়সে যোগ দিলেন নিজের শহরের সবচেয়ে বড় ক্লাব মালমোতে। ১৯৯৯ সালে এই দলের হয়েই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ইব্রার। সেখান থেকেই ইব্রাহিমোভিচের ভাগ্যের বাঁক বদল ঘটে যায়।

এরপর ইব্রা গায়ে জড়িয়েছেন আয়াক্স, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লা গ্যালাক্সি আর ক্যারিয়ারের শেষটা করেন এসি মিলান দিয়ে। জাতীয় দলেরও সফল তারকা তিনি। সুইডেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।

পুরো নাম: জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ

জন্ম: ৩ অক্টোবর ১৯৮১ সাল।

জন্মস্থান: মালমো, সুইডেন।

রাশি: তুলা রাশি।

প্রিয় খেলা: সকার ফুটবল, আমেরিকান ফুটবল।

প্রিয় খাবার: ইতালিয়ান খাবার।

প্রিয় পানীয়: স্ট্রবেরি জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ফুটবলার: স্যামুয়েল ইতো।

প্রিয় ফুটবল দল: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

প্রিয় সতীর্থ: কার্লেস পুয়েল, ফ্রান্সিসকো টটি, রবিনহো, পল পগবা।

প্রিয় গাড়ি: ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো।

প্রিয় স্টেডিয়াম: সানসিরো স্টেডিয়াম, ইতালি।

প্রিয় জায়গা: লোফোটেন।

প্রিয় শখ: ফুটবল খেলা, ভিডিও গেমস খেলা, পোকার খেলা, টিভি সিরিজ দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


লিটন দাস ‘দ্য ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

লিটন কুমার দাস ‘দ্য ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান’। কথাটার বাস্তবতা মিলবে গতকাল লিটন দাসকে নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। বিশ্বকাপ খেলতে উড়াল দেওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলন করতে আসা অধিনায়ক শান্তকে প্রশ্ন করা হলো, বিকল্প থাকলে কি লিটন দাসকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া হতো। উত্তর দিতে সময় নেননি শান্ত, জানালেন বিকল্প থাকলেও লিটনই স্কোয়াডে থাকত, ‘না… করতাম না। কখনোই করতাম না…।’ তার কণ্ঠে এতটাই দৃঢ়তা, লিটন দাসের প্রতি নিজের ও দলের প্রবল আস্থাই মিশে থাকল তাতে।

কিন্তু যে লিটন দাসের প্রতি এতটা আস্থা বাংলাদেশ অধিনায়কের, সেই লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কী অবস্থা? সেদিকে তাকালে চোখ ছানাবড়া হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

সবশেষ দশ ইনিংসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসেনি কোনো হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৪২ রানের। সেটাও ছিল গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এ বছর লিটন দাস খেলেছে দুটি সিরিজ। গত মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে লিটন দাসের রান যথাক্রমে ৩ বলে ০, ২৪ বলে ৩৬, ১১ বলে ৭ রান।

লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পরও লিটন দাস সুযোগ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এ সিরিজে লিটন দাস নিজেকে ব্যর্থতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যেন লিটন দাস উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। বাধ্য হয়ে তাই ম্যানেজমেন্ট তাকে বিশ্রাম দিয়েছিল শেষ দুই ম্যাচে। জিম্বাবুয়ের বিপেক্ষ লিটন দাস রান করেছেন যথাক্রমে ৩ বলে ১, ২৫ বলে ২৩ এবং ১৫ বলে ১২ রান।

এমন বাজে পারফরম্যান্সের পরেও লিটন দাস সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। সবচেয়ে নজর কাড়া বিষয় হলো ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করলেও বরাবরই লিটন দাসের ওপর ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট সবাই যেভাবে আস্থা রেখেছে, তখন এ কথা বলা বোধ হয় বাড়াবাড়ি হওয়ার কথা নয়, ‘লিটন দাস দ্য ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান’।

মঞ্চে উঠে একজন ম্যাজিশিয়ানের ঝুলিতে থাকা ম্যাজিক শেষ হয়ে যেতে পারে, সাগর শুকিয়ে চৌচির হয়ে যেতে পারে, একটা সময় হয়তো লিটন নিজেই নিজের ওপর থেকে আস্থা হারাবে কিন্তু লিটন দাসের প্রতি নির্বাচক, কোচ, অধিনায়ক কিংবা ম্যানেজমেন্টর আস্থা শেষ হবে না। সবাই তার প্রতি আস্থা রাখবে ব্ল্যাক ম্যাজিকে আক্রান্ত হওয়ার মতো।

বিষয়:

তারুণ্যে ভরা নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অনেকটা চমক দিয়েই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নেদারল্যান্ডস। ইংলিশ কাউন্টি দলের সঙ্গে থাকা চুক্তি পূরণ করতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কলিন অ্যাকারমান ও রোয়েলফ ফন ডার মারউইয়ের। তাদের পরিবর্তে তরুণদের প্রতিই আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।

স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেবে নেদারল্যান্ডস। গত বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বেই অংশ নিয়েছিল ডাচরা। এবারের দলে অবশ্য রয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। দলে নেই শারিজ আহমেদ, টম কুপার, স্টিফেন মাইবার্গ, অ্যাকারমান, ফন ডার মারউই, গ্লোভার ও ফন ডার গুটেন। দলে এসেছেন ওয়েসলি বারেসি, আরিয়ান দত্ত, মাইকেল লেভিট, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, ভিভিয়ান কিংমা ও ড্যানিয়েল ডোরাম দলে ফিরেছেন।

ডি গ্রুপে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে ডাচরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ ১৩ জুন।

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিডা, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বিক, ম্যাক্স ও’ডাউড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মেকিরান, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গল, বিক্রম সিং, ভিভিয়ান কিংমা ও ওয়েসলি বারেসি।


রঙিন হয়নি এমবাপ্পের প্যারিস বিদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইতোমধ্যেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বলাই যায়, গত রাতে প্যারিসে শেষ রাত ছিল এমবাপ্পের জন্য। ঘরের মাঠ প্রিন্সেস দে পার্কে পিএসজির জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেতে নেমেছিলেন এ ফরাসি তারকা। তবে শেষটা রাঙাতে পারেননি। এ যেন নিয়তির খেলা। যা বোঝে না শেষ কিংবা শুরু; চলে নিজের গতিতে। তবু প্রত্যাশা তো থাকে অনেককিছুই। কিলিয়ান এমবাপ্পেও হয়তো এমন অনেক কিছুই প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে নিয়তি তাকে সেটি পেতে দেয়নি।

ম্যাচটি ছিল পার্ক দ্য প্রিন্সেসে নিজেদের সমর্থকদের সামনে লিগ ‘আঁ’র শিরোপা নিয়ে পিএসজির উৎসব করার। ম্যাচটি আবার প্যারিসে কিলিয়ান এমবাপ্পের বিদায়ী ম্যাচও। কিন্তু তুলুজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে সেই আনন্দ মাটি হয়ে গেছে এমবাপ্পেদের। এই ম্যাচের পর আর প্যারিসের মাঠে পিএসজির জার্সিতে নামবেন না এমবাপ্পে। তবে মৌসুমের বাকি কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেন এমবাপ্পে। সেসব ম্যাচ প্রিন্সেস দে পার্কে নয়।

প্রিন্সেস দ্য পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটা রাঙনোর উপলক্ষও তৈরি করেছিল এমবাপ্পে। ৮ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর পিএসজির কেউ স্কোরও করতে পারেনি, প্রতিপক্ষের স্কোরারদের রুখতেও পারেনি। তুলুজের হয়ে করেন থিস ডালিঙ্গা (১৩ মিনিটে), ইয়ান গোবো (৬৮ মিনিটে) ও ফাঙ্ক মাগরি ৯৫ মিনিটে গোল করে এমবাপ্পের বিদায়কে বিষাদময় করে দেন।

এমবাপ্পের শেষ ইচ্ছেটা ছিল, চলতি মৌসুমে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতাবেন। কিন্তু নিজের সেই ইচ্ছেও পূরণ করতে পারেননি তিনি। বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে আসরের সেমিফাইনাল থেকেই। জার্মান বুন্দেস লিগায় ক্লাবটির কাছে দুই লেগেই হেরেছে এমবাপ্পের দল।

গতকাল ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক বলেন, ‘অনুরাগীরা এমবাপ্পেকে তার প্রাপ্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারুণ্য থাকা সত্ত্বেও সে একজন ক্লাব কিংবদন্তি। তার এখনো আমাদের সঙ্গে কয়েকটি ম্যাচ বাকি আছে। তবে আমি তাকে তার ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাই।’

এমবাপ্পেকে নিয়ে সতীর্থ ডেম্বেলে বলেন, ‘সে ক্লাবকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক কিছু করেছে। সে যা করেছে তাতে আমরা খুশি। পিএসজিতে ভালোভাবে বড় হয়েছে, সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। সে একজন পিএসজি কিংবদন্তি। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’


একের ভেতর সব জেমস নিশাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

তাকে সাম্প্রতিক ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার বললেও বোধ হয় খুব একটা ভুল হবে না। ব্যাট হাতে চোখ জুড়ানো সব শটে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ম্যাচ শেষ করে আসার সক্ষমতা তার আছে। এর সঙ্গে বল হাতেও বেশ কার্যকরী; গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিতে পারেন উইকেট কিংবা রানের গতি টেনে ধরে চেপে ধরতে পারেন প্রতিপক্ষকে। এর সঙ্গে বোনাস হিসেবে যোগ করুন দুর্দান্ত ফিল্ডিং স্কিল। এভাবেই কিউইদের ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জেমস নিশাম (জিমি নিশাম)।

জন্মটা ১৯৯০ সালে নিউজিল্যন্ডের অকল্যান্ড শহরে। যে দেশে ক্রিকেটটা ঠিক কেউ সিরিয়াসলি খেলে না। এমনিতেই জনসংখ্যা অনেক কম। তার ওপর রাগবির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, ফুটবলটাও কম নয়। তারপরও যুগে যুগে তাসমান সাগরপাড় থেকে উঠে এসেছে কালজয়ী সব ক্রিকেটার। সেই মশালই সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন জিমি নিশামরা।

ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরুটা অকল্যান্ডের হয়ে হলেও সাফল্যের শুরুটা হয় ওটাগোতে দল পরিবর্তন করার পর। ঘরোয়া ক্রিকেটে একই ম্যাচে চল্লিশোর্ধ্ব রান এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ডাক আসে জাতীয় দল থেকে।

স্কট স্টাইরিশ পরবর্তী যুগে এমন কাউকেই খুঁজছিল নিউজিল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচেই সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন নিশাম। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেন অপরাজিত ১৩৭ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির ধারা অব্যাহত রাখেন পরের ম্যাচেও, বনে যান ইতিহাসের প্রথম কিউই ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার। অবশ্য তার আগেই নিশামের অভিষেক হয়ে গেছে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে।

২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান। পরের বছরই গায়ে জড়ান ওয়ানডে দলের জার্সিও। তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অভিষেকটা টেস্টের মতো হয়নি নিশামের।

দুর্দান্ত শুরুর পরও টেস্টে নিজেকে থিতু করতে পারেননি এ কিউই অলরাউন্ডার। বরং সাদা বলের ক্রিকেটেই তার পরিচিতি বেশি। সেখানেই নিজেকে থিতু করে নিয়েছেন।

পুরো নাম- জেমস ডগলাস শিয়াহ্যান নিশাম।

জন্ম- ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ সাল।

জন্মস্থান- অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড।

রাশি: কন্যা।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: ভেজিটেরিয়ান ডিশ।

প্রিয় পানীয়: লেমন জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ড্যানিয়েল ভেট্টরি।

প্রিয় ক্রিকেট দল: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: লুকি ফার্গুসন, কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি।

প্রিয় ফুটবলার: লিওনেল মেসি।

প্রিয় ফুটবল দল: বার্সেলোনা এফসি।

প্রিয় গাড়ি: অ্যাস্টন মার্টিন ভ্যান্টেজ।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।


সিস্টেমে পরিবর্তন চান ইমরুল কায়েস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ওপেনার ইমরুল কায়েস। লাল-সবুজ জার্সিতে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন সেও প্রায় বছর পাঁচ হয়ে গেল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এ ওপেনারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও থেকেছেন নির্বাচকদের চোখের আড়ালে। ওপেনিং নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত থাকা বাংলাদেশ বাজিয়ে দেখেনি রেকর্ড বইয়ে জ্বলজ্বল করা ইমরুলকে। নানা আলোচনা আছে তার দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে। সেসব আলোচনার কিছুটা বাস্তবতাও আছে; পরপর দুই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পরও বাদ পড়েছিলেন দল থেকে।

দল থেকে এভাবে বাদ পড়া নিয়ে ইমরুল জানালেন, জাতীয় দলে খেলতে সাপোর্ট লাগে কিন্তু সেটা তিনি পাননি। পর্যাপ্ত সুযোগও তিনি পাননি। দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের সাবেক এ ওপেনার বলেন, ‘আমি অবশ্যই পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি। আমার এখনো মনে আছে, দুই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে পরের সিরিজে ছিলাম না। এটা কিন্তু সবার ক্ষেত্রে হয় না। আমার ক্ষেত্রে এসব প্রায়ই হতো। জাতীয় দলে খেলতে গেলে কিছুতো সাপোর্ট লাগে, অধিনায়ক-টিম ম্যানেজমেন্টের সাপোর্ট লাগে।’

ইমরুল কায়েস প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের সিলেকশনের প্রসেস নিয়েও। বদল আনার দাবি জানিয়েছেন এ প্রসেসে, ‘আমার মনে হয় এই সিস্টেমগুলো আরও সুন্দরভাবে পেশাদারভাবে হওয়া উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে, তাদের সুযোগটা আগে হওয়া উচিত। এই প্রসেসটা থাকলেই কিন্তু একজন তরুণ ক্রিকেটার কিংবা বাদ পড়া ক্রিকেটার ফোকাস রেখে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। ব্যর্থ হওয়ার পরও নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার সিস্টেমে পরিবর্তন আনা উচিত।’

সেই সাক্ষাৎকারে ইমরুল সামনে এনেছে নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে তার দূরত্বের বিয়ষটিও। দেশের সম্ভাবনাময়ী এ ওপেনারকে কখনোই ভুল ধরিয়ে দেননি নির্বাচক মিনহাজুল আবেদন নান্নুর কমিটি, ‘নান্নু ভাই কখনোই আমাকে কোনো স্পেস দেয়নি। আমাকে যদি নির্বাচকরা বলে দিত, তোর এই সমস্যা- এই জায়গায় তুই উন্নতি কর, কাজ কর, তাহলে আমরা তোকে নেব। তাহলে কিন্তু আমি মেসেজটা পেয়ে যাই। আমি কখনো কোনো মেসেজ পাই না। নান্নু ভাই একবার বলে তোকে টেস্ট দলে বিবেচনা করি না। আরেকবার বলে ওয়ানডে দলে বিবেচনা করি না। আবার কয়দিন পর বলে এই দুই ফরম্যাটের জন্যই বিবেচনায় আছিস। এর মানে তাদের পরিকল্পনায় গলদ আছে।’ ইমরুল জানিয়েছেন এখন আর তিনি জাতীয় দলে ফেরার কোনো আশাই করেন না। ঘরোয়াতেই পারফর্ম করে যেতে চান ফিটনেস যতদিন অনুমতি দেয়।


তাসকিনকে নিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চোট নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তাসকিন আহমেদকে নিয়েই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়ড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

আজ মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেন।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ছাড়া ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। বাংলাদেশের স্কোয়াড নিয়ে গত কয়েক দিনে জল্পনা তুঙ্গে থাকলেও দল ঘোষণায় তেমন চমক দেখা যায়নি।

বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডের বাইরে রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে যাবেন পেসার হাসান মাহমুদ ও ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও থাকছেন এই দুজন। তাসকিন চোট কাটিয়ে উঠতে না পারলে হাসানকে দেখা যাবে বিশ্বকাপেও।

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ৭ জুন থেকে। গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ‘ডি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।

রিজার্ভ : আফিফ হোসেন ধ্রুব, হাসান মাহমুদ।


মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেরেবাংলায় জিম্বাবুয়ের কাছে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ গতকাল হেরেছে। মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে দিনের ৯ বল আগেই টাইগারদের করা ১৫৭ রান টপকে গেছে সিকান্দার রাজার দল। এ তো গেল মাঠের ভেতরের খবর। ম্যাচ শেষে শেরেবাংলার মাঠে ও বাইরে ঘটে গেছে আরও কিছু ঘটনা। পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষ হতেই হোম অব ক্রিকেটের সেন্টার উইকেটে দুইবারে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন সাকিব আল হাসান। ওদিকে সাকিবের অনুশীলনের পর টানা এক ঘণ্টা ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়েছেন লিটন দাসও।

অন্যদিকে অফিশিয়াল প্রেস কনফারেন্স ছাড়া মাঠের বাইরে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসব খবর পুরোপুরি চাউর না হলেও জেনে গেছেন অনেকেই।

কিন্তু তার বাইরে আরও এক বড় ঘটনা ঘটেছে হোম অব ক্রিকেটে অবস্থিত বিসিবি অফিস বিল্ডিংয়ে। সভাপতির কক্ষে বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের এক নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের ১০ শীর্ষ কর্তা। সেই অনির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস, অন্যতম পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠুসহ কয়েকজন।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বোর্ডের ৮-৯ জন শীর্ষ পরিচালক বৈঠকে বসেছিলেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে। কে তিনি?

ভাবছেন বরাবরের মতো সাকিব আল হাসান বুঝি? নাহ, সাকিবকে নিয়ে কোনো মিটিং হয়নি গতকাল। কী করে হবে? দুপুর ১টায় খেলা শেষ হওয়ার পর সাকিব ব্যস্ত ছিলেন ব্যাটিং প্র্যাকটিস নিয়েই। তাহলে বোর্ড পরিচালকরা প্রেসিডেন্টের রুমে কাকে নিয়ে মিটিংয়ে বসেছিলেন?

বিসিবি সভাপতির কক্ষে একান্ত বৈঠকটি হয়েছে মূলত বোর্ড শীর্ষ কর্তা আর অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো যে, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে বোর্ড নীতি নির্ধারকদের বৈঠক?

প্রেস বক্সে চাপা গুঞ্জন, প্রাণচাঞ্চল্য। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল যে, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং ফর্ম ভালো যাচ্ছে না। বিসিবি সভাপতি পাপনও শান্তর ব্যাটিং নিয়ে খানিক অতৃপ্ত। তাই হয়তো শান্তর বদলে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপে অধিনায়ক করার কথা ভাবছে বিসিবি। সে জন্যই রিয়াদকে ম্যাচ শেষে প্রেসিডেন্ট রুমে ডেকে নিয়ে একান্তে বসা।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ব্যাপারটা তা নয়। শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে যে কথা হয়নি, তা নয়। তবে অধিনায়ক রদবদলের কথা আলোচনা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন শীর্ষ পরিচালক জানিয়েছেন, না, না। এ সময়ে এসে হঠাৎ অধিনায়ক পদে পরিবর্তন করা হবে কেন? শান্তর ক্যাপ্টেন্সি বদল নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

ওই দুই পরিচালক জানান, আসলে রিয়াদ ভালো খেলেছে। এই বয়সেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছে। আজ প্রায় একাই লড়াই করেছে। তাই তাকে বাহবা দিতেই সঙ্গে নিয়ে বসা।

জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন বোর্ড পরিচালকরা। বিসিবি প্রধানও মাহমুদউল্লাহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এখনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা বা ঘোষণা না দেওয়ার পরামর্শও নাকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অধিনায়ক শান্তকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে।


এখনো উন্নতির সুযোগ দেখছেন শান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের নড়বড়ে অবস্থা যেন শেষই হচ্ছে না। দিন পাল্টায়, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ধরনও পাল্টায়; কিন্তু উন্নতির কিছু দেখা মেলে না। কোনো দিন টপঅর্ডার ব্যর্থ হয়, আবার কোনো দিন শেষ মিডলঅর্ডার থেকে লোয়ারঅর্ডার। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রানের ওপেনিং জুটির পর মাত্র ৪৩ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ উইকেট। গতকাল আবার দেখা গেল উল্টো চিত্র; ব্যর্থ হলো টপঅর্ডার। মিডলঅর্ডার চেষ্টা করলেও সেটা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না।

গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে সিকান্দার রাজা-বেনেটের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ হোয়াইট ওয়াশের কীর্তি আর গড়া হলো না। এ দিন বাংলাদেশকে আফসোস করিয়েছে তাসকিন আহমেদের ইনজুরিও। বোলিংয়ে কিছুটা খাপছাড়াই লেগেছে টাইগারদের।

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা আর মিডলঅর্ডারেরর লড়াইয়ে ১৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪৪ বলে ৫৪)। জবাবে সিকান্দার রাজা আর ব্রায়ান বেনেটর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। হাফ সেঞ্চুরি করেন ব্রায়ান বেনেট (৭০) আর সিকান্দার রাজা (৭২)*।

৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ ভুগতে দেখা গেছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত তাই এখনো উন্নতির সুযোগ দেখছেন, ‘যেভাবে সিরিজ খেলেছি, তাতে (মনে হয়েছে) অনেক উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা ভালো শুরু করিনি। তবে মাঝে ভালো করেছি। বিশ্বকাপে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেব। প্রস্তুতির জন্য এখনো তিন ম্যাচ বাকি আছে।’

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ছিল প্রস্তুতির মঞ্চ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক জানালেন, সেটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন, ‘খুব ভালো একটা সিরিজ কেটেছে। সিরিজ জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আমরা এই সিরিজে যা যা দেখতে চেয়েছি, সেটার প্রায় সবই দেখতে পেরেছি। কিছু ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। আজ (গতকাল) মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে। রিশাদ পুরো সিরিজে ভালো বোলিং করেছে। যা যা চেয়েছি, প্রায় সব হয়েছে।’

তবে পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ছিল ব্যাটিং। দু-একজন ছাড়া সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা। সে জন্য অবশ্য অধিনায়ক শান্ত দুষলেন উইকেটকে, ‘এই সিরিজে উইকেট ভালো ছিল না। সাধারণত চট্টগ্রামে খুব ভালো উইকেট থাকে। এবার নতুন বল অনেক কঠিন ছিল সেই কন্ডিশনে। পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে আমাদের দুটি ম্যাচে অন অ্যান্ড অফ ব্যাটিং করতে হয়েছে।’


হোয়াইটওয়াশ করা হলো না জিম্বাবুয়েকে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম চারটি জিতে আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই লক্ষ্য ছিল ৫-০ তে সিরিজ জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা। কিন্তু তার বদলে মিরপুর শের-ই-বাংলায় নিজেদের ডেরায় উল্টো হারের যন্ত্রণা পেতে হলো টাইগারদের। শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে তুলে নিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল জয়।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে। লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ের জবাবটা ছিল দারুণ। ৪ ওভারেই বিনা উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলে নেয় অতিথিরা।

উইকেটের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটের দেখা পায় সাকিবের প্রথম ওভারেই। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই সাকিব তুলে নেন মারুমানির উইকেট।

এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ও বেনেট পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বোলারদের কড়া শাসন করেন। অষ্টম ওভারে সাইফ উদ্দিনকে মিড উইকেটে ছক্কা উড়ানোর পর দারুণ কভার ড্রাইভে চার হাঁকান রাজা। এরপর লেগ স্পিনার রিশাদকে একই ওভারে দুই ছক্কা মারেন রাজা ও বেনেট। রাজা ছাড় দেননি মোস্তাফিজকেও। কাভারের ওপর দিয়ে বল তুলে মেরে আদায় করেন দৃষ্টিনন্দন চার। বেনেট ১৩তম ওভারে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মেরে পেয়ে যান ফিফটির স্বাদ।

তাকে থামানোর পথ খুঁজে পেতে সৌম্যকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত। তার প্রথম বলই লং অফ দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন বেনেট। কিন্তু এরপরপরই সাইফ উদ্দিন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফেরান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে।

পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারেই বেনেট ক্যাচ তোলেন লং অফে। অনেক উচুঁতে উঠা বল সহজেই তালুবন্দি করেন রিশাদ। ৪৯ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করেন বেনেট। ওই সময়ে ২৯ বলে ৪৫ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। কাজটা কঠিন ছিল না। রাজা ক্রিজে থাকায় জিম্বাবুয়ে ছিল আত্মবিশ্বাসী। অধিনায়কও হতাশ করেননি।

ওই ওভারেই সাইফ উদ্দিনকে দুটি চার মারেন দৃষ্টিনন্দন শটে। পরের ওভারে মোস্তাফিজকে পুল করে চার মেরে ৪১ বলে রাজা তুলে নেন ফিফটি। যা তার ক্যারিয়ারের ১৪তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। পরের ওভারে সাইফ উদ্দিনের স্লোয়ারে মিড উইকেট দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ছক্কা তুলে নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দুই বলে আসে আরো ১০ রান। তাতে জয়ের লক্ষ্য চলে আসে সিঙ্গেল ডিজিটে।

মাহেদীর করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় অতিথিরা। ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান কেরন রাজা। পুরো সিরিজে নিষ্প্রভ থাকলেও শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেন তিনি।

বাংলাদেশের ব্যাটিং পুরো সিরিজেই ছিল হতাশাজনক। আজকেও ছিল না তার ব্যতিক্রম। এদিন ১৫ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। তানজিদ হাসান শুরুতে মুজারাবানির শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। এরপর স্পিনার বেনেটের পর পর দুই ওভারে সৌম্য ও তাওহীদ উইকেট বিলিয়ে আসেন। উইকেট খানিকটা ধীরগতির ছিল। তবে বাউন্স আদায় করতে পারছিলেন বোলাররা। ওই লাফিয়ে উঠা বাউন্সেই সৌম্য পয়েন্টে ক্যাচ দেন। তাওহীদ আটকে যান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

প্রবল চাপে পড়া বাংলাদেশকে ওই অবস্থান থেকে টেনে তোলার কাজটা সহজ ছিল না। মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ৬৯ রান যোগ করেন।

দুজনের জুটির ফিফটি চলে আসে ৩২ বলে। কিন্তু শান্তর বিদায়ে আবার চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ২৮ বলে ৩৬ রান করে শান্ত মাসাদাকজার বলে আউট হন। বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন। ৫ চার ও ১ ছক্কা শান্ত ইনিংসটি সাজান। পাঁচ ইনিংস পর শান্তর রান ত্রিশ পেরিয়েছে।

সঙ্গী হারানোর পর মাহমুদউল্লাহর রানের গতিও কিছুটা কমে আসে। বেনেটকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিড উইকেটে ছক্কা হাঁকিয়ে চল্লিশের ঘরে প্রবেশ করেন মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকে ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে পৌঁছতে আরো ১০ বল নেন। চাপে পড়ে আক্রমণ বাড়াতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন বাংলাদেশের ইনিংসের টপ স্কোরার। ৪৪ বলে ৫৪ রান করে মুজারাবানির বলে ডিপ কাভারে ক্যাচ দেন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ সাজান নিজের ইনিংস।

মাঝে সাকিব নেমে ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন। আগের ম্যাচে ১ রানে তার ইনিংস থামলেও আজ ১৭ বলে ২১ রান করেন ১ ছক্কায়। লুক জোয়াংগিকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিব। দারুণ ডাইভে সেই ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল।

জিম্বাবুয়ের বোলাররা কাজটা সহজ করে দেন। জোয়াংগির ফুলটস বল ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা উড়ান জাকের আলী। পরের ওভারে মুজারাবানির হাফ ভলি বল লং অফ দিয়ে সীমানা পাড় করান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে তার এই দুই ছক্কাতেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড শেষপর্যন্ত পেরিয়েছে দেড়শ রানের কোটা।


আজ জানা যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাকি নেই এক মাস সময়ও। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের দল পাঠিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। অনেকেই সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করেছে। তবে ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে দর্শকদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে আজ রোববার। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বিকেলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত, এখন ক্রিকেট অপরারেশন্সের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা দল দেব। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কাল ম্যাচ শেষে বিকেলের দিকে হয়তো ঘোষণা করব, যদি আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।’

একই কথা জানিয়েছেন সহকারী নির্বাচক হান্নান সরকারও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি দল ঘোষণা করার জন্য। বাকিটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যেহেতু কাল ম্যাচ আছে, বোর্ড যখন বলবে তখন দল দেব। সেটা কাল হোক আর পরশু হোক।’

তবে কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল সেটার আভাস দিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার আর জিম্বাবুয়ে সিরিজের বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই নাম থাকবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে আভাস অবশ্য আগেই মিলেছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। দলের এই টপ-অর্ডার ব্যাটার বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলের বেশির ভাগ সদস্য যাবেন বিশ্বকাপে।


banner close